লাইফস্টাইল ডেস্ক» পছন্দের খাবারের কথা শুনলে কার না মুখে জল আসে! আর বাসায়, দাওয়াতে কিংবা বন্ধুদের সাথে রেষ্টুরেন্টে মজার খাবার হলে তো কথাই নেই। পোলাও, কোরমা, ফাস্টফুড কত মজার মজার খাবার। তবে আপনি এই খাবারগুলো যার সাহায্য নিয়ে খাচ্ছেন তার সঠিক যত্ন নিচ্ছেন তো? বলছি আপনার দাঁতের কথা। মুক্তার মতো দেখতে দাঁত যেমন সুন্দর হাসির রহস্য, তেমনি আপনার সুন্দর স্বাস্থ্যর জন্য চাই দাঁতের যত্ন।
দাঁতের যত্নে
টুথব্রাশটি মাড়ি থেকে ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রাখতে হবে। এবার হালকাভাবে উপরে নিচে পরিষ্কার করতে থাকুন। কখনোই খুব বেশি চাপ দিয়ে ব্রাশ করবেন না। এভাবে সবকয়টি দাঁত ব্রাশ করে নিন। দাঁতের ভেতরের অংশ পরিস্কারের জন্যও একই নিয়ম অবলম্বন করুন। মাড়ির দাঁতগুলো পরিষ্কারের জন্য দাঁতের উপর খাড়াভাবে ব্রাশটি রেখে তারপর পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ব্রাশ করুন। জিহ্বা এবং মুখের তালুও পরিষ্কার করুন। এখানে ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
দাঁত ব্রাশের সময়
সাধারণত দুই বেলা ব্রাশ করলেই হয়। দিনের শুরুতে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। তবে অনেকে সকালের নাস্তার পর ব্রাশ করেন। এক্ষেত্রে খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট পর ব্রাশ করাই শ্রেয়।
দাঁত ব্রাশের সময় যা এড়িয়ে চলবেন
অতিরক্ত সচেতন ব্যক্তিরা প্রত্যেক বেলার খাবারের পরেই ব্রাশ করেন। সেটা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করতে পারে। দুই বেলা ব্রাশ করাই যথেষ্ট। একটি ব্রাশ অনেক দিন ধরে ব্যবহার করবেন না। তিন মাস পর পর ব্রাশ নতুন ব্রাশ ব্যবহার করা উচিৎ। কোনোরকমে ব্রাশ করা শেষ করতে হবে এভাবে ব্রাশ করবেন না। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। বাথরুমে ব্রাশ রাখা একটি বড় মাপের ভুল। বাথরুমে ব্রাশ রাখলে এতে ব্যাকটেরিয়া জমা হতে শুরু করে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।