র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মুহাম্মদ মাসুদ হামলার ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, ওই যুবক মোটরসাইকেলে করে তল্লাশি চৌকির কাছে আসে। এ সময় র্যাব সদস্যরা তাকে থামতে বললে না থেমে ‘ক্রস’ করার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় পরিস্থিতির কারণে তাকে গুলি করে র্যাব। এতে সে নিহত হয়। আহত হন দুই র্যাব সদস্য।
তিনি আরও বলেন, যুবকের পোশাক ও তার কাছে যে সরঞ্জামাদি আছে, তাতে বিস্ফোরক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল কাজ শুরু করেছে।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে।
হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহাকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, হামলাকারী বিস্ফোরক নিয়ে মোটরসাইকেলে করে র্যাবের চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গুলি করে। এতে হামলাকারী নিহত হয়। এ সময় ২ র্যাব সদস্যও আহত হন। ঘটনাস্থলে বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিট ও ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোমা নিষ্ক্রিয় ইউনিট নিহতের কাছ থেকে তিনটি বোমা ও ভেস্ট উদ্ধার নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ মার্চ) জুমার নামাজের সময় রাজধানী র্যাব সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে হামলাকারী নিহত ও র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। এ ঘটনার পরে দেশের সব কারাগার, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়।