বিশেষ প্রতিনিধি» ছাগলনাইয়া পৌরসভার ৩নং ওর্য়াড়ের দক্ষিণ সতর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা “আবদুল হক সওদাগরের” বাড়ীর রাস্তা কার্পেটিং এর কাজ করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তাটি “প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হকের” নামে জেলা পরিষদ থেকে গত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩শত ফুট ব্রিক সলিং করা হয়। রাস্তাটি দিয়ে একই বাড়ীর ১৫/২০ পরিবারের সদস্যরা হাটা চলা করে আসছে স্বাধীনতার উত্তোরকাল থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত। পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি বার বার ভেংগে গেলে“মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সওদাগরের”পরিবারের লোকজন জেলা পরিষদের প্রশাসক বরাবরে আবেদন করলে জেলা পরিষদের অর্থায়নে গার্ড ওয়াল ছাড়া দৈর্ঘ্য ১৭০ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুট রাস্তা ব্রিক সলিং করে দেয়। বর্তমানে পুকুরের পাড়ে ব্রিক সলিং ভেংগে গেলে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মহি উদ্দিন লিটন পরিবারের পক্ষ থেকে পৌরসভা বরাবরে গার্ড ওয়ালসহ কার্পেটিং করার জন্য অর্থ বরাদ্দের আবেদন করেন। পৌরসভা রাস্তাটি কার্পেটিং করার জন্য উন্নয়ন প্রকল্পে আওতাভুক্ত করেন। পৌর কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি কাপেটিং এর কাজ করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন। একই রাস্তা দিয়ে হাটা চলাচলকারী পাশের বাড়ীর মৃত সৈয়দ জালাল উদ্দিনের ওয়ারিশরা এতে বাধা দেন। বাধা দানকারীরা রাস্তার জায়গা তাদের মালিকীয় দাবী করে ইতিমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু ব্রিক সলিং করার সময় তারা বাধা না দিয়ে বরং তাদেরকে সহযোগীতা করেছিলেন বলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা জানান। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও পুরোনো পুকুরে পাড় দিয়ে হাটাচলার রাস্তার জায়গা নিয়ে আপত্তি ছিলো মৃত জালাল উদ্দিনের ওয়ারিশদের। কিন্তু প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সওদাগরের বাড়ী যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পুকুর পাড় দিয়ে। এ নিয়ে বিবাদী পক্ষের সাথে দীর্ঘদিন টানাপোড়ন চলছিল। ফলে গত ৬ ফের্রুয়ারী’২০১৬ইং তারিখে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী,বর্তমান পৌর মেয়র মোঃ মোস্তফা, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন মজুমদার ও সাবেক ৩নং ওর্য়াড়ের কাউন্সিলর সৈয়দ আবদুল হাদীর উপস্থিতিতে এক সালিশী বৈঠকে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিদ্বয়রা লিখিতভাবে অঙ্গীকার দিয়েছেন। শালিশী অঙ্গিকার নামায় মৃত জালাল উদ্দিনের সকল ওয়ারিশগন উক্ত রাস্তা ব্যবহারে বাদী বিবাদীদের কোন আপত্তি থাকিবে না। এমনকি কেহ কোন প্রকার বাধা প্রদান করিবে না মর্মে উভয়ে শালিশ নামায় স্বাক্ষর করেন। সাবেক মেয়র মোঃ আলমগীর বিএ উপস্থিতিতে উক্ত সালিশী নামায় সকলে স্বাক্ষর করে ভবিষ্যতে এ রাস্তায় যে কোন উন্নয়ন করা হলে কারো কোন আপত্তি থাকবে না বলে একমত পোষন করেন। অবশ্য বাধা দানকারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশীর ভাগ শহরে স্থায়ীভাবে অবস্থান করেন।
শত বছরের এ রাস্তা দিয়ে স্থানীয় স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসার শত শত ছাত্র ছাত্রী হাটা চলা করে আসছে। প্রায় ২০/২৫টি পরিবারের দু’শতাধিক লোকের প্রতিনিয়ত চলাচল করে বিধায় উক্ত রাস্তাটি কার্পেটিং হলে সর্বসাধারনের জন্য আরো সুবিধা বৃদ্ধি পেত। এ ব্যাপারে বাধা প্রদানকারী মৃত সৈয়দ জালাল উদ্দিনের ছেলে চট্রগামে অবস্থানরত সৈয়দ নাসির উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
ছাগলনাইয়ায় রাস্তা কার্পেটিংএ বাধা দেয়ার অভিযোগ
জাগোফেনী টুয়েন্টিফোরডটকম | আপডেট : November, 15, 2016, 5:32 pm