মিরসরাই প্রতিনিধি» মিরসরাই উপজেলার ৪ নম্বর ধুম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘিরে হরহামেশা হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে একটি শালিসি বৈঠককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ইউনিয়নের মোবারকঘোনা গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল আবছার এবং জামাল উদ্দিনের মধ্যেকার বিবাদ নিরসনে বৃহস্পতিবার পরিষদে বৈঠক ডাকে চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। সকাল থেকে শুরু হওয়া ওই শালিসের রায় ঘোষণা করে বেলা ১২ টার নাগাদ। এসময় চেয়ারম্যানের ঘোষিত রায়ে উভয়পক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে চিৎকার শোরগোল শুরু করে। একসময় উত্তেজনা বেড়ে গেলে উভয় পক্ষ পরিষদের বেশ কয়েকটি আসবাবপত্রও ভাংচুর করে। এসময় পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকলে জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সংঘর্ষে মোবারকঘোনা গ্রামের মৃত ওবায়দুল হকের পুত্র আমজাদ হোসেন (২৫) এবং একই এলাকার শফি আহমেদের পুত্র আলী মোল্লা (৩০) নামের দুই ব্যক্তি আহত হয়।
এ প্রসঙ্গে শালিসে উপস্থিত ধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের কামরুজ্জামান রিপন জানান, একটি শালিসকে কেন্দ্র করে বাদি-বিবাদী পক্ষের লোকজনের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। বিচারপ্রার্থী উভয়পক্ষের লোকজন কার্যালয় আঙ্গীনায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাঈন উদ্দিন জানান, ধুম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এলাকায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অপরদিকে ধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম নাহেরপুর গ্রামের বলাকা পুকুর এলাকায় বুধবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে চারটি দোকানঘরে। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা হলেন ইউসুফ সওদাগর, মফিজ, আলমগীর ও জয় শর্মা।
চুরির প্রসঙ্গে এলাকার মেম্বার মোরশেদ হোসেন জানান, আমি সবসময় এশার নামাজেরপর বাড়ীতে চলে যাই। চুরির বিষয়ে কিছু জানিনা।
মিরসরাইয়ে শালিস বৈঠকে দু‘পক্ষের সংঘর্ষ
জাগোফেনী টুয়েন্টিফোরডটকম | আপডেট : November, 17, 2016, 9:24 pm
