নিজস্ব প্রতিবেদক» ফুটবল খেলোয়াড শাহাদাতের খুনি বেলাল ছাগলনাইয়ার রাধানগর ইউপির পশ্চিম কাশীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে বেলাল (২৮) সবার ছোট। মাদক ও নেশার সাথে জড়িত বখাটে বেলাল মাত্র ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল। ছোটবেলা হইতে একরোখা ও বদমেজাসী ছিল সে। পরিবারের বাকীদেও মারধর কওে গত ২ বছর ধরে ঘর ছাড়া করে রেখেছে সে। এই নিয়ে সমাজে কয়েকবার সালিশী বৈঠক ও হয়। তার ভয়ে তার দুই ভাইয়ের পরিবার অন্যত্র বসবাস করছে। তাদের সাথে কোন যোগাযোগ পর্যন্ত নেই। নিজ এলাকায় কিছুদিন চাঁদাবাজির করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর পিটুনীতে চাঁদবাজিতে সুবিধা করতে পারে নাই। এছাড়া সে ২০১১ সালে ও কাশীপুর পানুয়াঘাট বাজারে মেটালের দোকান দিয়ে বছর খানেক ব্যবসা করে তেমন সুবিধা করতে না পেরে ছাগলনাইয়া জমদ্দার বাজারে তারেক মেটালে চাকুরী নেয় এবং সেখানে ভাড়া বাসায় থাকে। ছাগলনাইয়া সদরে এসে তার চালচলন আরো উগ্র হয়ে ওঠে। মেটাল দোকানের কর্মচারী হলেও সে আশপাশের কাউকে সম্মান দিয়ে কথা বলতোনা। তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও গায়ের জোর দেখানোই ছিল তার স্বভাব। বুধবার তারেক মেটাল থেকে সার্টার নিয়ে বের হওয়ার সময় এক রিক্সাচালকের রিক্সা তার সার্টারের সাথে লাগায় তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে বেলাল। এ সময় শাহাদাতের ভাই বক্কর বাধা দিতে এলে তার সাথে বেলালের বাক বিতন্ডা হয়। এ জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় শাহাদাতকে গলাকেটে খুন করে বেলাল। তাকে বাঁচাতে এসে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় শাহাদের ভাই বক্কর, ওসমান ও রিয়াদ নামে আরো দুই ফুটবল খেলোয়াড়। এখন জনমনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সামান্য একজন মেটাল দোকানের কর্মচারী খুন করার পরিকল্পনা করতে পারলো কিন্তু তার খুঁটির জোর কোথায়?
খুনী বেলালের যতসব অপকর্ম ।। খুঁটির জোর কোথায়
জাগোফেনী টুয়েন্টিফোরডটকম | আপডেট : November, 17, 2016, 7:41 am
