ডেস্ক রিপোর্ট» বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দেওয়া বিশ্বব্যাংকের সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন দেশকে সহায়তার জন্য আইডিএ (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন) তহবিল প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এতে বাংলাদেশও আরও বেশি সহায়তা পাবে।’
দারিদ্র বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসমান্য সাফল্য দেখিয়েছে জানিয়ে বিশ্বব্যাংক প্রধান বলেন, ‘অপুষ্টি ও শিশুদের খর্বাকৃতি রোধে বাংলাদেশকে আগামী দুই বছরে বর্তমানের চেয়েও এক বিলিয়ন ডলার (১০০ কোটি) অতিরিক্ত সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।’
সচিবালয়ে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এ সব কথা বলেন।
তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছেন জিম ইয়ং কিম। সোমবার সকাল পৌঁনে ৯টা থেকে পৌঁনে ১০টা পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পদ্মা সেতুর সঙ্গে শুরুতে বিশ্বব্যাংক জড়িত ছিল। এখন নেই। পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী-একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ সেতুর গুরুত্ব আমরা বুঝি। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু সরকার এটার কাজ শুরু করে দেয়। যা হোক বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিক থেকে এখন আমরা খুবই জোরালোভাবে উপায় খুঁজছি, বাংলাদেশের সাপোর্টের সাথে বিশ্বব্যাংকের সম্ভাব্য অর্থায়ন কিভাবে যুক্ত করা যায়। আগে এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
বিশ্বব্যাংকের সহায়তার ক্ষেত্রে আগামীতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার উপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে জিম ইয়ং কিম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও কীভাবে বাংলাদেশের জন্য আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে সহায়তা আসা উচিত আগামী ২ দিন এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব আমরা।’
বিশ্বব্যাংকের প্রধান বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের (আইডিএ) সহায়তার প্রধান গৃহীতা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা আশা করি আগামী ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আইডিএ সহায়তার সবচেয়ে বড় অংশটি পাবে।’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। আমরা এ সংস্থা থেকে কনসেসনারি পদ্ধতিতে সবেচেয়ে বেশি ঋণ পেয়ে থাকি। গত ৪৫ বছর ধরে আমরা এটা পেয়ে আসছি। এ সংস্থা থেকে আমার প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছি।’
বিশ্বব্যাংকের বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রথম বাংলাদেশে সফর এটি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কিছু সমস্যা চলছিল। শেষে সমস্যার সমাধান হয়। এখন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল।’
মুহিত বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বাংলাদেশের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রত্যাশা করছি বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বরাদ্দের প্রতিশ্রুতির আমাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করবে।’