বিশেষ প্রতিনিধি» গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন বাংলাদেশের প্রথম সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয়ী নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন। সম্প্রতি গ্রামীণফোনের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি।
২০১১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন এবং এই সময়ে সব ক্ষেত্রে নারীর অগ্রযাত্রাকে সম্মান জানাতে ওয়াসফিয়া তার অভিযাত্রা শুরু করেন। ২০১৫ সালে তিনি প্রথম ও একমাত্র বাঙালি হিসেবে সেভেন সামিট জয়ের দুর্লভ রেকর্ড করেন এবং বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তোলেন।
গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে উচ্ছ্বসিত ওয়াসফিয়া বলেন, ‘গ্রামীণফোনের মতো বিশ্বস্ত একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমার ভালো লাগছে। এদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকেই গ্রামীণফোন সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এবং তাদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাকে এমার্জিং এক্সপ্লোরার খেতাব দেয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে তিনি একইসঙ্গে অভিযাত্রী ও এক্সপ্লোরার খেতাবধারী।
ওয়াসফিয়া নাজরীন ১৯৮২ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ফেনীতে। ওয়াসফিয়া নাজরীনের পিতার নাম নাজসি জামান চৌধুরী এবং মা মালিহা চৌধুরী। তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র মেয়ে ওয়াসফিয়া নাজরীন। ওয়াসফিয়ার মা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাবা বাংলাদেশের মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফরএভার লিভিং প্রডাক্টসের কান্ট্রি হেড। ওয়াসফিয়ার শৈশব-কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামে। ছোটবেলা থেকেই কিছুটা ডানপিটে স্বভাবের মেয়ে ওয়াসফিয়া নাজরীন। বাবা-মার আদরে কোনো কিছুতেই বাধা পাননি তিনি। ঢাকার স্কলাসটিকা স্কুল থেকে ও এবং এ লেভেল সম্পন্ন করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় এগনেস স্কট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান ওয়াসফিয়া। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওয়াসফিয়া যান স্কটল্যান্ডে। পড়ার বিষয় সামাজিক মনোবিজ্ঞান আর স্টুডিও আর্ট। পেশায় তিনি একটি এনজিওর উন্নয়ন কর্মী, কিন্তু নেশা তার পর্বতারোহণ। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি নিজের উদ্যোগে গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ নামে একটি ফাউন্ডেশন। সেই থেকেই চলছে পর্বত অভিযান।