‘তুরস্কের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রচেষ্টা চলছে’

ডেস্ক রিপোর্ট >>তুরস্কের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট-এফটিএ) করতে দুদেশের প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্কের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হওয়া দেশে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৮টি দেশের এফটিএ রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের দুদেশের বাণিজ্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার এবং এটা বাংলাদেশের পক্ষে। এর মধ্যে আমরা ৮০০ মিলিয়ন ডলারের রফতানি করি। এ বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা ডি-৮ এর অন্যতম সদস্য। এর মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে স্বল্পোন্নত। আমরা তুরস্কের বাজারে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে রুলস অব অরিজিনের মাধ্যমে ভ্যালু এডিশনটাকে আরও আমাদের পক্ষে নিতে চাই। আরও (রুলস অব অরিজিন) রিল্যাক্স (শিথিল) করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ডি-৮ ভুক্ত অধিকাংশ দেশই এতে (রুলস অব অরিজিনের শর্ত শিথিল) সম্মত হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে তুরস্কের সম্মতি চাই। যাতে আরও নমনীয় করতে পারি বাংলাদেশের পক্ষে।’

তুরস্কের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা যদি তুরস্কের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) করতে পারি রফতানি আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। এফটিএ করার জন্য আমরা উভয় দেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

‘যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি তা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি; তবে দুদেশের বাণিজ্য ২ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারব’ বলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে তুরস্কের পক্ষ থেকে তাদের উপ-প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের এখান থেকে হয় অর্থমন্ত্রী না হয় (আমি নেতৃত্ব দেব)- পরে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

‘মানবতাবিরোধীদের বিচার আমরা করবোই’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে। আমাদের ৩০ লাখ লোককে জীবন দিতে হয়েছে এবং মা-বোন নির্যাতিত হয়েছে। যে অমানুষিক অত্যাচার-নির্যাতন বাংলাদেশের মানুষকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার করেছে সে বিষয়ে আমি তাকে (রাষ্ট্রদূতকে) জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এজন্য স্বাধীনতাবিরোধী, মানবতাবিরোধীদের বিচার করতে আমরা বাধ্য হয়েছি। বিচারে ফাঁসির হুকুম হয়েছে, ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে। মানবতাবিরোধীদের যে বিচার কাজ হচ্ছে তা আমরা করবোই, সেটা আমি তাকে (রাষ্ট্রদূতকে) অবহিত করেছি।’

এ সময় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ওজতুর্ক মন্ত্রীর পাশেই বসে ছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের বিরোধিতা করে আসছে তুরস্ক।

তুরস্ক কিছুদিন আগে সেনা অভ্যুত্থান শক্ত হাতে মোকাবেলা করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তুরস্ক পর্যন্ত এখন ভাবছে, সে দেশে এখন ডেথ প্যানাল্টি ফিরিয়ে আনা যায় কি না। এ সব বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশক সম্পাদক : জাহাঙ্গীর কবির লিটন
এলাহী মার্কেট , ২য় তলা, বড় মসজিদ গলি, ট্রাংক রোড,ফেনী।
jagofeni24@gmail.com
© 2016 allrights reserved to JagoFeni24.Com | Desing & Development BY PopularITLtd.Com, Server Manneged BY PopularServer.Com