আর্টিজান হামলায় ফেনীর আকাশের সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট»মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো ফেনীর পেয়ার আহমদ আকাশের সঙ্গে গুলশান হামলার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার এ কথা বলেন। মালয়েশিয়াতে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক আকাশকে গত ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়া। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, আকাশ সে দেশে একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন। তার সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের যোগাযোগ ছিল। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারীদের একজনের ওই রেস্টুরেন্টে আসা যাওয়া ছিল।

দেশে ফেরত পাঠানোর পর ফেনীতে একটি অস্ত্র মামলায় আকাশকে কারাগারে পাঠায় জেলার একটি আদালত। ২০০৫ সালে চারটি এ কে ফোরটি সেভেন রাইফেল বিক্রির অভিযোগে তখন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।

চট্টগ্রামে খালাস হওয়া ১০ ট্রাক পরিমাণ অস্ত্রের সঙ্গে আসা এ কে ফোরটিসেভেন রাইফেলের মধ্যে বেশ কিছু আকাশের কাছে এসেছিল বলে সে সময় পুলিশের তদন্তে জানা যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ফেনী শহরের শাহীন একাডেমি স্কুল থেকে ১৯৯৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা পাস করেন আকাশ। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ভগ্নিপতি জেলা জামায়াতের সময়ের নায়েবে আমির আবু ইউসুফের হাত ধরে শিবিরের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গ্রেপ্তারের পর আবু ইউসুফের তদবিরেই জামিন পেয়ে মালয়েশিয়া পালিয়ে যান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আকাশের নামে ফেনীতে একটি অস্ত্র মামলা ছিল। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপুলে একটি হুলিয়া ছিল। আর এ কারণেই তাকে গ্রেপ্তারের পর দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

আকাশের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়াতে জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে সে দেশের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘মালয়েশিয়ার পত্রিকায় কী লিখেছে তা আমি জানি না। তবে আকাশের বিরুদ্ধে হলি আর্টিজানে হামলা বা অন্য কোনো সম্পৃক্ততার তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, আকাশের বিষয়ে মালয়েশিয়ার পুলিশ তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারীদের সাম্প্রতিক ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আজ অনেক কথা বলেছি। এ বিষয়ে কিছু বলবো না।’

এর আগে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা ও সামাজিক সমস্যা। এটা মোকাবেলা সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ডিএমপিকে ২৮৭টি বিটে ভাগ করা হয়েছে। এখানে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ করে কয়েকশ উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করছি।’

প্রকাশক সম্পাদক : জাহাঙ্গীর কবির লিটন
এলাহী মার্কেট , ২য় তলা, বড় মসজিদ গলি, ট্রাংক রোড,ফেনী।
jagofeni24@gmail.com
© 2016 allrights reserved to JagoFeni24.Com | Desing & Development BY PopularITLtd.Com, Server Manneged BY PopularServer.Com