২ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ১ বছরেও মামলার চার্জশিট হয়নি

ডেস্ক রিপোর্ট»মাদারীপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার এক বছরেও বিচার আওতায় আসেনি অভিযুক্তরা।
এমনকি আসামিরা জামিনে বেড়িয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অসহায় পরিবার দুটিকে দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করেও পুলিশের অসহযোগিতা পাচ্ছেন না ভিকটিম পরিবাররা।
এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিহতদের পরিবার দুটি। আর মামলাটির মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিতে এখনো অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়নি বলে ধারণা মানববধিকার কর্মীদের।
তবে জেলা প্রশাসক লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
পুলিশ ও নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ আগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাদারীপুরের মস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া ও হ্যাপীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ধর্ষণ শেষে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়। এমন অভিযোগে মামলা দায়ের করে স্কুলছাত্রীদের পরিবার।
ওই ঘটনায় প্রথমে পুলিশ পরে অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। কিন্তু মামলার এক বছরেও আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়নি।
মামলার প্রধান আসামি রানাসহ অন্যরা গ্রেফতার হলেও জামিনে বেড়িয়ে এসে প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে নির্যাতিত ওই পরিবার দুটিকে দফায় দফায় হুমিক দিচ্ছে বলে নিহতদের পরিবারের অভিযোগ। এ বিষয়টি একাধিকবার পুলিশকে জানালেও কোনো সহযোগিতা মেলেনি ভিকটিম পরিবারের।
নিহত সুমাইয়ার বাবা মোঃ বিল্লাল শিকদার বলেন, আমার মেয়েকে হত্যার এক বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত চার্জসিট দেয়নি পুলিশ। শুরু থেকেই পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্ব দেয়নি। এখন সিআইডিতে গেছে।
তিনি বলেন, তবে সঠিক বিচার পাবো কিনা জানা নেই। আমি এমন বিচার দাবি করি, যেন প্রতিটি বাবা তার মেয়েদের স্কুলে দিতে ভয় না পায়।
এদিকে নিহত হ্যাপীর মা মুক্তা আক্তার জানান, আসামিরা জামিনে এসে আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। কয়েকদিন আগে প্রধান আসামি রানা রাতে কয়েকজনকে নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমি পুলিশকে বিষয়টি বললেও কোনো কাজ হয়নি। এখন আমরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
চাঞ্চলকর জোড়া খুনের ঘটনায় হতাশ এলাকাবাসী ও নিহতদের আত্মীয়-স্বজরাও। তারা ওই নৃংসশ হত্যাকাণ্ডের দৃশান্ত শাস্তি দাবি করেন।
মাদারীপুরের মানবাধিকার কর্মী সুবল বিশ্বাস বলেন, মামলাটিকে ধামাচাপা দিতে এখনো আদালতে জমা দেয়া হচ্ছে না অভিযোগপত্র। আমরা হতাশ। কেন কোন কারণে পুলিশ এমন করছে, বুঝছি না। আমরা এই হত্যার সঠিক বিদার দাবি করছি।
ওই ঘটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি মাদারীপুরের পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।
তবে জেলা প্রশাসক কামাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি নিহতদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগে থাকেন, আমি সঠিক বিচারের জন্যে পিপি মাধ্যমে চেষ্টা করবো।
সূত্র জানিয়েছে, ওই ঘটনায় সদর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা ও  মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতে ধর্ষণ শেষে বিষ খাইয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর প্রধান আসামি রানাসহ ৪ জন গ্রেফতার হলেও তারা জামিনে বেরিয়ে যায়।
।। নতুন বার্তা
প্রকাশক সম্পাদক : জাহাঙ্গীর কবির লিটন
এলাহী মার্কেট , ২য় তলা, বড় মসজিদ গলি, ট্রাংক রোড,ফেনী।
jagofeni24@gmail.com
© 2016 allrights reserved to JagoFeni24.Com | Desing & Development BY PopularITLtd.Com, Server Manneged BY PopularServer.Com