শিক্ষা ডেস্ক» ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৪০০ জন সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছে। শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এসব শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এম. আযীযুল হক, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান হেলাল আহমদ চৌধুরী, পরিচালক প্রফেসর (ডা.) কাজী শহিদুল আলম, মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, মো. সাইফুল ইসলাম, এফসিএ, এফসিএমএ ও মো. জয়নাল আবেদীন।
প্রফেসর আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইসলামী ব্যাংক সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদানের মাধ্যমে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরীতে ভূমিকা পালন করছে। দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি দেশের অমূল্য সম্পদ। এ সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমন্ডলে আরো সম্মানজনক আসন লাভ করতে পারবে। তিনি সামর্থবানদের এসব মেধাবীদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান এবং শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নে কাজ করার পরামর্শ দেন।
ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের অর্থনেতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। সিএসআর কর্মসূচির আওতায় এ ব্যাংক শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ আর্ত-মানবতার সেবায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
শিক্ষাকে দারিদ্র বিমোচনের হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মেধাবীরা যাতে অর্থের অভাবে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য ইসলামী ব্যাংক প্রতি বছর ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি প্রদান করছে।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ইসলামী ব্যাংক সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে একটি ন্যায় ও কল্যানভিত্তিক আর্থিক ধারা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থী সহ দেশের সকল মানুষের প্রয়োজন পূরণেও কাজ করছে এ ব্যাংক।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, কর্মকর্তাবৃন্দ, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নির্বাচিত ৪০০ জন উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরকে এককালীন নগদ অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়।