ডেস্ক : গতমাসেই ভারতের গুজরাটের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দাবি করেছিলেন যে তারা গরুর মূত্রে স্বর্ণের সন্ধান পেয়েছেন। সেটির রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন খবর এসেছে, গরুর মূত্রের ব্যবসা এখন ভারতে তুঙ্গে। তবে স্বর্ণ খুঁজতে নয়, খাবার হিসেবে এতো চাহিদা এই পানীয়টির।হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে প্রায় সর্বত্রই গোমূত্র দামি বস্তুতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাসীন মোদী সরকার ভারতে গরু হত্যা অনেকটা অঘোষিতভাবেই নিষিদ্ধ করতে চলেছেন। প্রাণিটি হিন্দুদের কাছে খুবই পবিত্র।
ভারতের নাগপুরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গো-বিজ্ঞান অনুসন্ধান’-এর প্রধান সমন্বয়কারী সুনিল মানসিংখা গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের কাছে দাবি করে বলেন, ‘প্রায় ৩০টি রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব গরুর মূত্র দিয়ে।’ অনেক ভারতীয় বিশ্বাস করে গোমূত্রতে অসুখ সারে। ভারতের জাতীয় আয়ুর্বেদ অনুষদের পরিচালক কে সংকর রাও বলেন মানুষ, গরু, মহিস, ছাগল, উট, ভেড়া, গাধা, এবং ঘোড়ার মূত্রে আয়ুর্বেদ ঔষধ হিসেবে কাজ করে। তবে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী গরুর মূত্র।
খবরে বলা হয়, বাবা রামদেব পতঞ্জলি গোমূত্র বিক্রি করে থাকেন। এটা মূত্র ভিত্তিক মেঝে পরিষ্কারক। রামদেব পতঞ্জলির পরিচালক বলকৃষ্ণ ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘আমরা দিনে প্রায় ২০ টনের মতো গরুর মূত্র উৎপাদন করি। তা সত্ত্বেও আমরা চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি।’ এমনকি হারবাল চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে গোমূত্র। গত দুই দশক ধরে প্রায় ১২ লক্ষাধিক ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা গোমূত্রের মাধ্যমে করা হয়েছে।